এনভাটো মার্কেটপ্লেস কি এনভাটো মার্কেটপ্লেসে কি হয় ? এইসব নতুন করে বলার কোন প্রয়োজন নাই বললেই চলে। কিন্তু প্রশ্ন এখন ডেভেলপার বা ডিজাইনারদের ছাড়া সেই স্থানে একজন ডিজিটাল মার্কেটার এর কি সম্পর্ক ? হ্যাঁ এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর নিয়েই লেখাটি।
এনভাটো তে যেমন ডেভেলপার বা ডিজাইনার জড়িয়ে আছে ঠিক তেমনি জড়িয়ে আছে ডিজিটাল মার্কেটাররা। যদি বলেন কিভাবে ? মজার ব্যাপার কি জানেন, ডেভেলপাররা অনেক কষ্টের পর একটা প্রোডাক্ট সেল করলে হইত ৫০%-৭৫% পাই। কিন্তু একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কিছু কারিকুলামি করে ৩০% আয় করে নেন। তো ব্যাপার টা কেমন হইল ? শুধু যদি এতটুকু বলে থেমে যায় তবে ভুল হবে, এনভাটো কিন্তু একটা মার্কেটপ্লেস, এনভাটো কিন্তু বায়ার না। সুতরাং প্রোডাক্ট সেল করতে হলে দরকার হবে ডিজিটাল মার্কেটার।
সুতরাং বেশিরভাগ সময় আমার মনে হয় ডেভেলপার বা ডিজাইনার থেকে আমাদের ক্ষমতা বেশি । ডেভেলপার বা ডিজাইনার ভাইরা কিছু মনে নিয়েন না। মজা করলাম আর কি !! সবকিছুই তো বুঝলাম কিন্তু মার্কেটিং পদ্ধতি টা আসলে কেমন হবে ? এটা জানার জন্য আপনি আমার এই পোস্টটি পড়তেছেন। ভাই ধৈর্য ধরতে হবে। কথা এখনও শেষ হয় নি। মার্কেটিং তো এখনও অনেক দূর। প্রোডাক্ট দেওয়ার পূর্বে যেসব করনীয়গুলো রয়েছে সেগুলো প্রথমে জেনে নিন।
প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে দেওয়ার পূর্বে কিছু কথা
► প্রোডাক্ট তৈরি করার পর তো অবশ্যই ডকুমেশন তৈরি করুন। সেটা ফ্রী প্রোডাক্ট হোক। কারন অনেকে আপনার চিন্তা – ভাবনা থেকে তৈরি প্রোডাক্ট সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। এবং সেই ডকুমেশনটা আপনার অথোরিটি ওয়েবসাইটে পাবলিশ করুন। কোন ভাবে সেটা পিডিএফ আকারে দিয়ে ডাউনলোড করাবেন না। তবে ২ টা রাখতে পারলে ভালো। ডকুমেশনের ভিতর আপনার প্রোডাক্ট এবং আপনার সাইটের প্রধান প্রধান কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন ।
►একটা প্রোডাক্ট কে মার্কেটিং করার পূর্বে প্রোডাক্টটি কিভাবে নজরে নিয়ে আসা যায় সেটা আমার থেকে বেশি ভালো বুঝেন ডেভেলপার বা ডিজাইনাররা। তারপরও বলব প্রোডাক্টে যখন আই ক্যাচিং ব্যাপার টা থাকে, তখন প্রোডাক্ট মার্কেটিং এমনিতে ২০-৩০% কমপ্লিট হয়ে যায়।
► সর্ব প্রথম বলব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে আমরা যে লরেম ইপসাম ব্যবহার করি, এটা ব্যবহার করবেন না। এটা একদম হারাম। হা হা হ হা। লরেম ইপসাম বাদ দিয়ে আপনি যে প্রোডাক্ট টা তৈরি করছেন ওই প্রোডাক্ট সম্পর্কে লিখুন। এবং আপনার প্রোডাক্ট কি ধরনের সেটা নিয়ে কি- ওয়ার্ড রিসার্চ করুন। এবং সার্চ ইঞ্জিন টার্গেট করে লরেম ইপসাম ব্যবহার করা বাদ দিয়ে কন্টেন্ট প্রবেশ করান, সাথে আপনার কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
► আপনার যেহেতু প্রয়োজন প্রোডাক্ট সেল করা তাই আপনার অথোরিটি সাইটে যতবেশি ভিজিটর আনতে পারবেন ততই আপনার প্রোডাক্ট সেল হবে। সুতরাং আপনাকে আপনার অথোরিটি সাইটে ব্লগিং করবেন। আর সেখানে আপনার প্রোডাক্ট এর ফিচার বা টিপস শেয়ার করেন। আর অবশ্যই আপনার টার্গেট কি-ওয়ার্ড মাথায় রাখবেন।
বোনাস টিপসঃ সাইট অথোরিটি বাড়ানোর জন্য গুগল অথোরশিপ ব্যবহার করুন। এতে করে মজ ট্রাস্ট বাড়বে এবং গুগল আপনার সাইট কে আরও বেশি প্রাধান্য দিবে, সেই সাথে আপনার প্রোডাক্টকে। আপাতত একটা প্রোডাক্ট তৈরির পূর্বে উপরোক্ত বিষয়গুলির প্রতি নজর রাখলে হবে ।
তো এখন চলে যাওয়া যাক কিভাবে একটা প্রোডাক্টকে এসইও বান্ধব করা যায়।
এসইও বান্ধব প্রোডাক্ট তৈরি
আমি এই পয়েন্টটি তে বেশি ফোকাস করব থিমফরেস্ট অর্থাৎ থিম এবং টেম্পলেটকে যেহেতু এনভাটো তে সবথেকে পপুলার ক্যাটাগরি এটি। আর বাংলাদেশে প্রচুর ডেভেলপার এবং আইটি ফার্মগুলো থিমফরেস্টে কাজ করে থাকেন। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই এই পয়েন্টটি তুলে ধরা।
তো মূল আলোচনা তে চলে যায়ঃ
বর্তমানে বায়াররা একটা থিম কেনার সময় তারা আরেকটা জিনিস চায় সেটা হইল, থিম বা টেম্পলেটটা আসলে এসইও বান্ধব কিনা । আর বর্তমানে বেশি সেল হচ্ছে এসইও ফ্রেন্ডলি প্রোডাক্টগুলো।
একজন বায়ার হিসেবে আমার আসলে কি চাহিদা ছিল সেটা একটু বলি, কিছুদিন পূর্বে আমি একটি ব্লগিং এর জন্য একটা ওয়ার্ডপ্রেস থিম খুজতে ছিলাম, আমি চাচ্ছিলাম থিমটা দেখতে যেন চমৎকার হয়, কিন্তু যখন আমি থিমগুলো প্রিভিউ করে দেখি তখন অনেক ধরনের এসইও সমস্যা দেখতে পায় থিমগুলোর ভিতর। যা সাইটটাকে লাইভ করার পূর্বে অনেক কিছু ফিক্স করতে হবে আমাকে। তাই আমি অন্য থিম খোজাতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। কিন্তু এখানে কি লক্ষ্য করেছেন কতটা লসের খাতায় নাম দিতে হইল ওই থিমকে। এক নাম্বার, তার থিম তো আমি কিনিই নাই। দুই নাম্বার, আমি কিন্তু তাকে তার থিমের সমস্যা জানাতেও যায় নি। এইভাবে অনেক বায়ার তার থিম দেখে পছন্দ করলেও থিম টি সেল হয় না। আর এই কারনে বেশিরভাগ ভালো আই ক্যাচিং থিম সেল হয় না।
তো কি করলে একটা একটা থিম কে এসইও ফ্রেন্ডলি করা যায় সেটা একটু দেখি।
এজ্যাক্স কনটেন্ট
গুগল সহ যত সার্চ ইঞ্জিন আছে সমস্ত সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ভালো না, যখন কি না একটি এজ্যাক্স কনটেন্ট পেজে রোবট ক্রল করে। কোন এজ্যাক্স কন্ট্রোল কনটেন্ট তো ক্রল করতে পারে না , সেই সাথে পেজটি সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হয় না। এটা মারাত্মক একটা সমস্যা। কিন্তু ডেভেলপার চাইলে এজ্যাক্স কনটেন্টকে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে পারেন । এইচটিএমএল ৫ হিস্টোরি এপিআই (HTML5 History API), স্পেসিফিকভাবে ফাংশন window.history.pushState() এর মাধ্যমে। সেদিন থিম ফরেস্টে অসাধারন একটা এজ্যাক্স থিম চোখে পড়ল । এটি ছিল সুইফটআইডিয়াস এর ক্লিক থিম ।
টুলসঃ
ব্রো এসইও টুলসটি ব্যবহার করলে আপনি জানতে পারবেন সার্চ ইঞ্জিন আপনার কোন কনটেন্টগুলো পড়তে পারছে সেই সাথে জেনেও যাবেন কোনটা ক্রল করতে পারছে না।
রিসোর্সঃ যেহেতু আমি ডেভেলপার না, তাই কোডিং ব্যাপার টা খুব বেশি জানি না। শুধু আমার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ছাড়া। তাই এজ্যাক্স কনটেন্ট কে কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি করবেন এইচটিএমএল ৫ হিস্টোরি এপিআই (HTML5 History API) দ্বারা সেটা পড়ে নিন। এছাড়া এজ্যাক্স কনটেন্ট কিভাবে কিভাবে আরও এসইও ফ্রেন্ডলি করা যায় সেটা পড়তে চাইলে চলে যান মজের এই লিঙ্কে, এবং বিং এর এই লিঙ্কে ।
সিএসএস এবং অন্যান্য স্ক্রিপ্ট একত্রীকরণ
একটা পেজের যতদ্রুত লোড হয় গুগলের কাছে এমনকি ভিজিটর এর কাছেও সেটা অনেক বেশি প্রাধান্য পায়। পেজের লোড যত কম হয় ততই ভালো। এর ফলে বাউন্স রেট অনেক কম থাকে। আপনি এটাকে কমাতে পারেন যদি কিনা আপনি আপনার স্ক্রিপ্টগুলাকে একত্র করে কপ্রেস করে রাখেন। যদি আপনি পেজ স্প্রিড বাড়াতে চান অনেক সমধান আছে, মিনিফাই বা ওয়াইইউআই কপ্রেসার এর মত। এরপর দেখুন আপনার পেজ স্প্রিড কতটা ইম্প্রুভ হয়েছে। এছাড়া আপনি কমন ওপেন সোর্স , জাভাস্ক্রিপ্ট বা মোটুলস এর জন্য গুগল হোস্টেড লাইব্রেরিয়াস ব্যবহার করতে পারেন আপনার থিমের ভিতর।
মাল্টিপল এইচ১ ট্যাগ
গুগল এটার বিরুদ্ধে না। আমার অভিজ্ঞতা থেকে যতটুকু বলি, সেটা হল এইচ১ ট্যাগ একটা পেজের সম্পূর্ণ ব্যাপার টা ছোট্ট একটা লাইনের মাধ্যমে বুঝানো হয়। যার কারনে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ওই পেজটাকে সার্চ ইঞ্জিনে উপরে আসার ক্ষেত্রে। সার্চ ইঞ্জিনে এই এইচ১ ট্যাগের কারনে অনেকগুলা সিগন্যাল যায় ওই কনটেন্ট এর ব্যাপারে।
উপরের ভিডিও তে ম্যাট কাটস ক্লিয়ারভাবে বলে দিয়েছে। সুতরাং এটা নিয়ে আর কিছু বলার নাই। যদি আপনি ম্যাট কাটস এর কথা না বুঝতে পারেন সেজন্য আমি ট্রান্সক্রিপ্টটা নিচে দিয়ে দিলাম।
“A very short to the point question from Aaron, south of Boston. Aaron asks, “Morethan one H1 on a page: good or bad?” Well, if there’s a logical reason to have multiple sections, it’s not so bad to have, you know, multiple H1s. I would pay attention to overdoing it. If your entire page is H1, that looks pretty Creti, right? So don’t do all H1 and then you CSS to make it look like regular text because we see people, who are competitors complain about that if users ever turn off CSS or the CSS doesn’t load, it looks really bad.
So, you know, it’s okay to have a little bit of H1 here and then maybe there’s twosections on a page, and so maybe have a little bit of H1 here. But you really should you use it for headers or headings, which is what the intent is. Not to just throw H1 everywhereyou can on a page. Because I can tell you, if you just throw H1 everywhere on a page,people have tried to abuse that and so our algorithms try to take that into account so it doesn’t really do you that much good.
So I would use it where it make sense and more sparingly, but you can have it multiple times.”
যদি আপনি একজন ভালমানের এইচটিএমএল৫ কোডার হয়ে থাকেন, একটা পেজের উপর মাল্টিপল এইচ১ ব্যবহার করতে চাইবেন না। কারন এসইও এর জন্য এটা অল্প হলেও সমস্যা। কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত সাজেশন থাকবে এটাকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা এবং এড়িয়ে যাওয়া। যদি আপনি পারেন।
সোশ্যাল সাইডবার
সোশ্যাল সিগন্যালস খুব গুরুত্বপূর্ণ এসইও এর জন্য। যখন আপনার থিমটিকে মার্কেট সেরার করার চিন্তা করবেন তখন আপনার থিমের ভিতরে ক্রিয়েটিভ সোশ্যাল শেয়ার বাটন তৈরি করতে হবে। ক্লায়েন্ট সব সময় চাইবে অন্যর থেকে কিছুটা আলাদা। তাই আপনি যত আকৃষ্ট করা সোশ্যাল বাটন তৈরি করতে পারবেন তত মার্কেট পাবে আপনার থিমটি। এটি পরিক্ষিত একটি পদ্ধতি। উপরে বলেছি প্রোডাক্ট সেলের বাড়ানোর ব্যাপারে।
কিন্তু এসইও এর জন্য ইফেক্টি কেন? হ্যাঁ তাহলে লাইভ একটা প্রমান দেখতে হলে উদাহরন দিতে হবে ই-কমার্স টেম্পলেট এর। টুইটার প্রোডাক্ট কার্ডস এর নাম ডেভেলপাররা খুব ভালো করে জানেন। আপনি যদি না জানেন তবে ছবিটার দিকে লক্ষ্য করুন। বুঝতে পারবেন। তো ছবিটা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে যে, সেখানে প্রোডাক্ট প্রাইস সহ চলে আসছে। যেটা ই-কমার্স টেম্পলেট ক্লায়েন্টদেরকে বেশি আকৃষ্ট করে থাকে। এর ফলে কনভার্সনটা অনেক বাড়ে। আর গুগল এখন সোশ্যাল সিগন্যাল কে ব্যাকলিঙ্ক হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর সোশ্যালের সিগন্যালের সাথে কনভার্সন যত বেশি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সেটার মান ততবেশি।
যদি ব্লগিং বা ম্যাগাজিন থিমের কথা চিন্তা করেন তবে সেক্ষেত্রে ফেসবুক ওপেন গ্রাফ বা টুইটার সামারি কার্ড থেকে সোশ্যাল বক্স তৈরি করে নিতে পারেন। তবে টুইটার প্রোডাক্ট কার্ড সবথেকে সেরা।
এসইও বান্ধব ছবি
আপনার থিমের একটা নাম একটা নাম দিয়ে আপনি সেটাকে মার্কেটিং করেন। এবং আপনি সর্বদা মাথায় রাখেন অন্যদের থেকে যেন ভিন্ন হয়। এতে করে আপনার প্রত্যেকটা প্রোডাক্ট একটা ব্র্যান্ড তৈরি হয়। আপনার প্রোডাক্ট যদি খুব ভালো পারফর্ম না করে তাহলে তো গুগলে আপনার প্রোডাক্টের নাম লিখে সার্চ করবে না। আর যদি না লিখে সার্চ করে তাহলে আপনার ব্র্যান্ড করে কি লাভ হইল ? যে ব্র্যান্ডের নাম লিখেই মানুষ সার্চ করে না।
আপনি এখন চিন্তিত কথাতো সত্য। ভাবতেছেন তাহলে উপায়। হ্যাঁ, উপায় একটা আছে। সেঠাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে, তাছারা কিছুই নয়। আপনার প্রোডাক্ট অবশ্যই এনভাটোর কোন একটা ক্যাটাগরির সাথে সম্পৃক্ত একই সাথে আপনি যে প্রোডাক্টকে ডেভেলপ করতেছেন সেটা ডেভেলপমেন্ট এর কোন একটা ক্যাটাগরির সাথে সম্পৃক্ত। অর্থাৎ গুগলে মানুষ মানুষ আপনার প্রোডাক্ট এর নাম না দিয়ে সার্চ করলেও আপনি তাকে সার্চ করাতে বাধ্য করাবেন। কিভাবে ? যদি আপনার মানুষ সার্চ করে “Onpage WordPress Theme” তাহলে অনেক অনেক প্রোডাক্ট লিস্টে চলে আসবে ? আপনার দরকার এই লিস্টে থাকা। কিন্তু আপনি তো প্রোডাক্ট বানানো নিয়ে ব্যস্ত। এই কি-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন কখন? আবার চিন্তা।
চিন্তা করার কিছু নাই। কিছু জিনিস মাথায় রাখার মধ্যে ইমেজ অপটিমাইজেশনটাকে মাথায় রাখতে হবে। এতে একজন ক্লায়েন্টও আপনার প্রতি আস্থা রাখবে। গুগল যখন তার রোবট দিয়ে ক্রল করে তখন ইমজেগুল পড়ে। আর এটা পড়ে ALT tag দ্বারা। আপনি যদি এই ট্যাগ টি ব্যবহার করে সাথে ছোট্ট একটা ডিস্ক্রিপশন দিয়ে দেন, আর ব্যাপার টা যদি প্রতিটা ইমেজের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন রিলেটেড এঙ্কর টেক্সট দ্বারা করেন, তাহলেই কেল্লা ফতে। উদাহরনঃ “Limo WordPress Theme” Limo wordpress Responsive Theme” , “Limo Premimum WordPress Theme”. এইভাবে করলে গুগল আপনার ইমেজটাকে পড়তে পারে। যা কি-ওয়ার্ড র্যাঙ্ক করাতে সাহায্য করে। তাই আমি প্রথমেই বলেছিলাম, লরেম ইপসাম ব্যবহার করা হারাম। যদি পুরা থিমটা তে আপনার প্রোডাক্টটা নিয়ে যদি আলোচনা হয় তাহলেই কেল্লা ফতে। কি-ওয়ার্ড আপনার র্যাঙ্ক করতে আর দৌড়াতে হবে না।
ইমেজে অপটিমাইজেশনের আরও ব্যাপার আছে, ইমেজ কোয়ালিটি খুব ভালো হবে কিন্তু অবশ্যই যেন সেটা ভারী না হয়। এতে পেজের লোড বেড়ে যাবে। আর আমি পূর্বেই বলেছি সাইট এর লোড যত কমবে তত সার্চ ইঞ্জিনের ভালো। এতে করে মোবাইল বা ট্যাবলেট ভিজিটররা বেশি সুবিধা পায়। এই জন্য ক্লায়েন্টরা এই ব্যাপার টা মাথায় রাখে। কারন এখন প্রচুর মোবাইল বা ট্যাব ভিউ। এটাকে তাই সার্চ ইঞ্জিন খুব বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। চাইলে আপনারা এই ক্রাকেন টুলসটি ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনার ইমেজকে শুধু সাইজ কমিয়ে দিয়ে রেজুলেশন ঠিক রাখে।
এসইও প্ল্যাগিন
এই প্লাটফর্মের জন্য যে এই পয়েন্টটা লাগবে সেটা হইত কেউ ভাবে নি , সোজা কথায় এই পয়েন্ট টি আপনি এখন এড়িয়ে অন্য পয়েন্টে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু এড়িয়ে গেলেন তো মিস করে গেলেন। আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি এই প্লাটফর্মে এসেছেন শুধু বিজনেস করতে। এটা একটা ভালো কনসেপ্ট এই জন্য বলব আমি যে, এই কনসেপ্টটা খুব কম মানুষকাজে লাগাই। আপনি কি একবার দেখেছেন কোন এসইও প্লাগিন টা আপনার থিমের সাথে ভালো পারফর্ম করতেছে ? আপনার দেখার প্রয়োজন মনে হয় নি।
বিজনেস করতে আসলে এইসব খুঁটিনাটি সব বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ। যখন কোন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোডাক্ট কিনতে আসবে তখন সে যদি একটা পয়েন্ট দেখে, তবে সে নিজেই অবাক হয়ে যাবে। পয়েন্ট টা ঠিক এই রকম “Our Theme is good performing on Yoast WordPress SEO Plugin, So It`s our Bonus Recommendation for you” এখন বলেন তো আপনি ক্লায়েন্ট হলে কি করবেন ?
সুতরাং একটু নজরে রাখেন আপনার ডেভেলপ করা থিম কারা ব্যবহার করছে এবং তাদের পারফর্ম কি ? তারা কি প্ল্যগিন ব্যবহার করতেছে। সবকিছু ট্র্যাক করে এটাকে মেনশন করুন প্রোডাক্ট ডিটেইলস অপশনে। এরপর প্রোডাক্ট পারফর্ম দেখেন। যদি ট্র্যাক না করে আপনার আপনার বানানো প্রোডাক্ট এর উপর একটা জরিপ চালান, দেখেন আপনিই বুঝতে পারবেন কোনটা ভালো পারফর্ম করছে। নিজের কাছে যেমন ভালো লাগবে, ক্লায়েন্ট এর কাছেও ঠিক তেমনি ভালো লাগবে।
এতক্ষণ অনেক কিছু দেখলাম বা জানলাম প্রোডাক্ট মার্কেটে নিয়ে আসার পূর্বে কি করতে হবে কেন করতে হবে এই সব বিষয়। এখন চলে যাব অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা সেই মার্কেটিং পদ্ধতিগুলো। যা জানার জন্য আজকে আপনি ভিজিট করেছেন আমার ওয়েবসাইটে। চলুন শুরু করা যাক।
এনভাটো প্রোডাক্ট মার্কেটিং পদ্ধতি
কয়েক বছর পূর্বেও মানুষ জানত না যে এসইও একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম অনলাইন বিজনেসে এর জন্য। কিন্তু মানুষ এখন জানতে শুরু করেছে মাত্র যে এসইও একটি অসাধারন মাধ্যম প্রোডাক্ট সেল করার জন্য। যেটা ভিন্ন ভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন থেকে টার্গেট ভিজিটরকে আনতে সাহায্য করে।
কিন্তু এইসব মানুষগুলো বা ভিজিটররা আসলে কি মাধ্যম হয়ে সার্চ ইঞ্জিনে প্রবেশ করছে। খুব সহজ উত্তর হবে কি-ওয়ার্ড এর মাধ্যম হয়ে সার্চ ইঞ্জিনে পরবর্তীতে কোন সাইট সেই ভিজিটরকে পাচ্ছে। তো প্রথম বিষয়ে আসতে হবে সেটা হল কি -ওয়ার্ড।
কি-ওয়ার্ড বাছাইকরন
কি-ওয়ার্ড বাছাই করার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবেঃ
► উপযুক্ত সার্চ ভলিউম ।
► অনেক বেশি যেন কম্পিটিটিভ যেন না হয় ।
► এবং অবশ্যই আপনার প্রোডাক্ট এর সাথে সম্পৃক্ত
আমি জানি যে উপরের পয়েন্টগুলা আপনি খুব ভালোভাবে জানেন। কিন্তু আজকে আমি দেখাব কিভাবে এইগুলা আরও ভালোভাবে করা যায়। আর কাজগুলো করব আমার ফেভারিট টুলসগুলো দিয়ে। আপনি টুলসগুলো খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি আরও ভালো দিক-নির্দেশনার প্রয়োজন হয় তবে প্রচুর টিউটোরিয়াল খুজে পাবেন সেগুলো দেখে নেওয়ার পরামর্শ রইল।
কি-ওয়ার্ড আইডিয়াঃ
আপনি টুলস ব্যবহার না করেও কি-ওয়ার্ড সাজেশন নিতে পারেন গুগলে সার্চ করে। কিভাবে সেটা আমি নিচে ছবি আকারে দিয়েছি।
► ইউবারসাজেস্টঃ এই টুলসটি এক্সেল ফাইলের মাধ্যমে কি-ওয়ার্ড আইডিয়া দিয়ে আপনাকে সাহায্য করবে।
► সোভলেঃ এই টুলস ব্যবহার করেও আপনি বিভিন্ন সার্ভিস থেকে কি-ওয়ার্ড আইডিয়া পাবেন।
► গুগল ট্রেন্ডসঃ গুগল ট্রেন্ডস সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার দরকার হয় না তারপরও বলে রাখি আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন সেটা কতটা পপুলারিটি, আদৌ কি আপনার প্রোডাক্ট মার্কেটে ভালো পারফর্ম করবে সেটা একটা গ্রাফ এর মাধ্যমে দেখা যায়।
► কি-ওয়ার্ড টুলঃ এটি গুগল অটোকমপ্লিট থেকে ৭৫০টি কি-ওয়ার্ড জেনারেট করে দেয়। যা সঠিক কি-ওয়ার্ড বাছাই করতে সাহায্য করে।
কি-ওয়ার্ড ডাটা কালেকশন
লিস্ট কালেকশনের পর পরই পরবর্তী ধাপ হইল কি-ওয়ার্ড ডাটা কালেকশন করা। কত পরিমান মানুষ কি-ওয়ার্ডগুলা দিয়ে সার্চ করছে এটা জানা অনেক বেশি জরুরী। কি-ওয়ার্ড ডাটা কালেকশনের জন্য গুগল এডওয়ার্ডস কে বাছাই করতে পারেন। বিপরীত হিসেবে আপনি ওয়ার্ডস্ট্রিম বা ওয়ার্ডট্রাকার ব্যবহার করতে পারেন।
কি- ওয়ার্ড ঝুকি পরিমাপঃ
কি-ওয়ার্ড পরিমাপ করার জন্য MOZ Keyword Difficulty Tool টি ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে আপনার প্রোডাক্ট সেলের জন্য সাহায্য করবে। একটা ব্যাপার মনে রাখবেন, আপনি একজন এনভাটো অথোর। আপনার নিজের প্রোডাক্ট আছে সাথে একটি অথোরিটি সাইট আছে, তাই আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড হাই-কম্পিটিশন কি-ওয়ার্ড খুব ভালোভাবে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করাতে পারবেন।
প্রোডাক্ট টাইটেল এবং কনটেন্ট
টাইটেল অপটিমাইজেশনঃ
আপনার প্রোডাক্ট এর টাইটেল একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে এসইও এর ক্ষেত্রে। যেটা আপনি এইচ১ ট্যাগ দ্বারা আপনার প্রোডাক্ট এর পেজকে আবদ্ধ করেন।
গুগল সার্চ ইঞ্জিন বলছে ৫০-৫৫ শব্দের এর ভিতর একটা টাইটেল কে সীমাবদ্ধ রাখতে। যদি আপনার টাইটেল অনেক বড় হয়ে থাকে তবে গুগল একটা পেজের জন্য টাইটেলকে বিভিন্নভাবে জেনারেট করে দেই। টাইটেল এর সাথে সার্চ ইঞ্জিনের সামঞ্জস্যতা ব্যাপারে একটু বিস্তারিত পড়তে চাইলেগুগল ওয়েবমাস্টার এর থেকে পড়ে নিন।
টাইটেল টা একটা নির্দিষ্ট শব্দের ভিতর যেমন রাখা উচিৎ ঠিক তেমনি সেটা যেন সুন্দর একটা বাক্য পরিনত হয় সেটার ব্যাপারেও মাথায় রাখা উচিৎ। ধরুন যে আপনার একটা থিম আছে মেডিকেল এর উপর। ধরলাম প্রোডাক্ট এর নাম লরেম ইপসাম টেম্পলেট। এখন আপনি মেডিকেল এর টেম্পলেট বোঝানোর খাতিরে ,মেডিকেলের এই Pneumonoultramicroscopicsilicovolcanoconiosis টার্মস টি ব্যবহার করে যদি লিখেন “Pneumonoultramicroscopicsilicovolcanoconiosis Lorem Ipsum Template” । তাহলে ব্যাপার টা কি দাঁড়ালো ?
কিছু পয়েন্ট তুলে ধরলাম টাইটেল এর ক্ষেত্রে এইগুলা মাথায় রাখবেনঃ
► বায়ার যেন টাইটেল দেখে প্রোডাক্ট সম্পর্কে বুঝতে পারে আসলে এটা কি ।
► সর্বদা চেষ্টা রাখবেন প্রধান কি-ওয়ার্ডটি টাইটেলে ব্যবহার করার জন্য।
► ১০০ ওয়ার্ড এর ভিতর আপনার টাইটেলটা সীমাবদ্ধ যেন থাকে এনভাটো তে।
টাইটেল এর একটা সুন্দর উদাহরন দেইঃ ধরলাম যে আপনার প্রোডাক্টটি একটি ওয়ার্ডপ্রেস প্যারালাক্স থিম। যেটা সার্ভিস প্রোভাইডার জন্য বানানো। তো টাইটেল টা এমন হবে “ABC Parallax WordPress Theme for Service “
কনটেন্ট অপটিমাইজেশনঃ
অসাধারন সব টেক্সট ব্যবহার করুন আপনার প্রোডাক্ট পেজে। সেই সাথে ইমেজ দেওয়ার পর ইমেজ এর বিস্তারিত লিখুন। কারন গুগল টেক্সট পড়তে পড়ে বুঝতে পারে আপনার পেজে কি বিষয় নিয়ে লেখা আছে এবং এটি সার্চ কোয়ারির সাথে কতটুকু মিল আছে। ব্রোএসইও টুলস থেকে আইডিয়া বের পাবেন আপনার প্রোডাক্ট পেজে গুগল কি পড়তে পারছে আর কি পারছে না।
আমি বোঝাতে চাই নি যে, আপনি প্রোডাক্ট আইটেমে ছবি ব্যবহার করবেন না। কারন যখন আমি মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করি তখন আমি প্রথমেই ফিচারগুলো দেখি যেগুলা ইমেজ আকারে দেওয়া থাকে। শুধুমাত্র আপনার দায়িত্ব ইমেজটাকে অপটিমাইজ করবেন সাথে আপনার ইমেজের সম্পর্কে টেক্সট দিবেন।
প্রথম প্যারাগ্রাফে ১৫০-১৬০ ওয়ার্ড এর ভিতর রাখবেন যেটা আপনার মেটা ডিস্ক্রিপশন হিসেবে ব্যবহার হয়। তাই প্রোডাক্ট এর সম্পূর্ণ কথা ওই ১৫০-১৬০ ওয়ার্ড এর ভিতর রাখবেন সেই সাথে আপনার প্রোডাক্ট এর সাথে সম্পৃক্ত কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। প্রোডাক্ট আইটেম যেহেতু তাই প্রথম প্যারাগ্রাফে আপনার আকর্ষণীয় ফিচারগুলো রাখবেন। এখানে কি-ওয়ার্ড র্যাঙ্ক টা মূল বিষয় না। কিন্তু সিটিআর বা ক্লিক থ্রো রেট যদি বাড়াতে চান তবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন লাইফটাইম সাপোর্ট, লাইফটাইম আপডেট, ব্লা, ব্লা, ব্লা……
এইচ২ এবং এইচ৩ ট্যাগ ব্যবহার করুন। যেটা আপনার সেকন্ডারি কি-ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার হবে। অর্থাৎ সাবটাইটেল বা প্রোডাক্ট ফিচারগুলোকে উপরোক্ত ট্যাগের ভিতর রাখার চেষ্টা করুন।
প্রোডাক্ট ডিস্ক্রিপশনের ভিতর ইন্টারনাল লিঙ্ক করুন। সেটা হতে পারে আপনার ওই প্রোডাক্ট এর রিলেটেড প্রোডাক্ট, বা আপনার অথোরিটি ওয়েবসাইট, অথবা রিলেটেড টিউটোরিয়াল রিসোর্স। তবে মাথায় রাখবেন পেজের লিঙ্ক জুসের ব্যাপারে। আপনার লিঙ্ক করা কি-ওয়ার্ডগুলো আপনার কাছে যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে লিঙ্ক জুস মাথায় রেখে কাজ করবেন। এতে বায়ার আপনার লিঙ্কগুলা ঘুরে অন্য প্রোডাক্টও কিনতে পারে সেই সাথে গুগল র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরে আপনার লিঙ্ক বিল্ডিং কাজ হয়ে যাবে।
আর গুগলে সর্বদা ইউনিক কনটেন্ট ভালবাসে এটা সবাই জানে। তাই এই ব্যাপারে আর কিছু বললাম না।
ইমেজ অপটিমাইজঃ
ইমেজ অপটিমাইজ এর ব্যাপারে এই লেখার প্রথম দিকেই আলোচনা করেছি। এটা যেহেতু প্রোডাক্ট এর ভিতর অপটিমাইজ করার পয়েন্ট তাই এই পয়েন্টটি না চাইলেও চলে আসছে। এই পয়েন্টে তেমন কিছুই বলার নাই। শুধু মনে রাখবেন, আপনার ইমেজ কোয়ালিটির কারনে পেজ লোড স্প্রিড অনেক বাড়তে পারে আবার কমতে পারে।
পেজস্প্রিড চেক করার জন্য গুগল পেজস্প্রিড টুলস বা পিংডম টুলস ব্যবহার করতে পারেন। ইমেজ অপটিমাইজ করার জন্য ক্রাকেন টুলস ব্যবহার করবেন, সেই সাথে ইমেজ ALT ট্যাগ ব্যবহার করবেন অবশ্যই।
কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্কঃ
কাজের ফিডব্যাকঃ
আপনি যে কাজটা করেছেন সেটার ফিডব্যাক নিন বিভিন্ন জায়গা থেকে। ড্রিবল অথবা বেহান্স এর মত জায়গা তে আপনার কাজের উপর ফিডব্যাক নিন। এখান থেকে আপনি আপনার প্রোডাক্ট পেজের জন্য টার্গেট ভিজিটর পাবেন। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আছে যারা প্রোডাক্টের উপর রিভিউ দিয়ে দেই সাইট এর কনটেন্ট বৃদ্ধি করার জন্য। এইসব সাইটগুলোতে আপনি আপনার কনটেন্ট রাইটার দ্বারা কনটেন্ট লিখে তাদের কাছে পাঠান। সেখান ভালো ভিজিটর সহ কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যাকলিঙ্ক পাবেন।
কম্পিটিটর এনালাইসিসঃ
আপনার প্রোডাক্ট কম্পিটিটর কেন এত ভালো পারফর্ম করছে তার প্রোডাক্টে সেটা এনালাইসিস করুন ওপেন সাইট এক্সপ্লোর থেকে। দেখুন আপনি কম্পিটিটর কোথা হতে ব্যাকলিঙ্ক পাচ্ছে । সেইসব জায়গা থেকে আপনিও আপনার ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করে নিন প্রোডাক্ট পেজের জন্য।
সোশ্যাল সিগন্যালঃ
গুগল এখন এখন সোশ্যাল সিগন্যালকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেয়। র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরে দেখা গেছে গুগল প্লাসকে উপরে থাকতে। সোশ্যাল সিগন্যাল যত বেশি থাকে গুগল ওই প্রোডাক্টকে বেশি প্রাধান্য দাও। সোশ্যাল সিগন্যাল শুধু যে কি-ওয়ার্ড র্যাঙ্কিং ইফেক্টিভ সেটাও না। আপনার প্রোডাক্ট পেজের জন্য টার্গেটেড ভিজিটর পাবেন।
সিক্রেট টিপস
বাই-সেল এ্যাডস
বাই-সেল এ্যাডস প্রোডাক্ট সেল বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আছে যারা আপনার প্রোডাক্টকে ফিচার করে কিছু সল্প পরিমান ডলারের বিনিময়। সেখানে আপনার প্রোডাক্ট অ্যাড দেওয়ার মাধ্যমে আপনি ক্লায়েন্ট পাবেন। দেখা যায় এইসব সাইট প্রোডাক্ট কেনার প্রতি মাসে ভিজিটর আসে ১ লক্ষ্যর বেশি। যদি এখানে আপনার প্রোডাক্ট থাকে তবে আপনার প্রোডাক্ট সেল আরও বেড়ে যাবে। আমি একটু ছোট্ট হিসাব করে দেই। ১ লক্ষ ভিজিটর থেকে যদি ক্লিক থ্রো রেট ২% হয় তবে ২ হাজার ক্লিক আপনি পাবেন। সেখান থেকে যদি ১% সেল হয় তবে ২০ বার একটা প্রোডাক্ট সেল হয়। দেখা যায় আপনি মাত্র ৩-৫ ডলার এর বিনিময়ে বাই-সেল এ্যাডস দিয়ে অনেক বেশি আয় করতে পারছেন।
বাই সেল অ্যাডস গুলো অবশ্যই আপনার প্রোডাক্ট এর সম্পৃক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে দিবে। যেমন টিউটোস প্লাস ওয়েব ডিজাইন । এইরকম অথোরিটি সাইটগুলোতে আপনার প্রোডাক্ট এড দিবেন। এতে করে দেখা যাবে আপনার প্রোডাক্টের সেল ২০০% এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাই-সেল এ্যাডসে কিভাবে আরও ভালো পারফর্ম করান যায় সেটা জানতে হলে আমার ফেসবুক ফ্যান পেজের সাথে সর্বদা একটিভ থাকুন। খুব দ্রুত এটা ফ্যানপেজে পোস্ট করব। এটি ব্লগ আকারে প্রকাশ করা হবেনা। সুতরাং জানতে হলে আমার সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।
টিউটোরিয়াল
আপনার প্রোডাক্ট এর সাথে সম্পৃক্ত এমন ধরনের টিউটোরিয়াল তৈরি করে বিভিন্ন ভিডিও শেয়ারিং সাইটগুলোতে শেয়ার করুন এবং ডিসক্রিপশনে আপনার প্রোডাক্ট সাথে কি-ওয়ার্ড সম্পৃক্ত করে লিঙ্ক দিয়ে দিন। এতে সার্চ ইঞ্জিন ভ্যালু বাড়বে, সেই সাথে আপনার কি-ওয়ার্ড খুব দ্রুত র্যাঙ্ক করবে। ভিডিও মার্কেটিং গাইডলাইন নিয়ে একটা লেখা আসছে সেখানে আরও ভালোভাবে আলোচনা করা হবে।
প্রোডাক্ট কনটেস্ট
বিভিন্ন অফার দিয়ে আপনার প্রোডাক্ট প্রোমশন চালান। এতে করে মানুষ আপনার প্রোডাক্ট কেনার প্রতি আগ্রহী হবে। যদি আপনার প্রোডাক্ট এর মূল্য ৩০ ডলার হয় আপনি সেটাকে ২০ ডলারে দিয়ে সেল করবেন, এমন সব কনটেস্ট প্রমোশন করুন। দেখবেন আপনার প্রোডাক্ট সেল অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আপনার চাওয়া থেকে বেশি হতে পারে।
প্রোডাক্ট ব্যবহারকারী ফিচার
আপনার প্রোডাক্ট ব্যবহার করছে এমন মানুষদের কাছ থেকে ইন্টারভিউ নিন। অথবা তাদেরকে নিয়ে আপনার অথোরিটি ব্লগে ফিচার করুন। দেখবেন তারা আপনার ওই ফিচার লিঙ্ক বিভিন্ন জায়গাতে ছড়াবে। এবং ক্লায়েন্ট পেতে আপনাকে তারা সাহায্য করবে।
এডওয়ার্ডস এবং টুইটার ক্যাম্পেইন
আপনার যদি কোন স্পেশাল প্রোডাক্ট থাকে তাহলে সেটা নিয়ে ক্যাম্পেইন করুন। তবে জানেন তো এই ২ টা জায়গা তে ক্যাম্পেইন করতে হলে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। তাই প্রফেশনাল কারোর দিয়ে করানোর চেষ্টা করুন । যদি আপনি নিজে না পারেন। ক্যাম্পেইন খোলাটা ঠিক যেমন খুব সহজ তেমনি সেটা ভালো পারফর্ম করানো টা অনেক কঠিন। তাই সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। অন্যথায় আপনার হাজার হাজার ডলার শুধু পানিতে ডুববে।
সিক্রেট কথাঃ আমরা সবাই সেলফিস। সবাই নিতে চাই কিন্তু কেউ কিছু দিতে চাই না। এই ব্লগ আমার আয়ের কোন মাধ্যম না। শুধুমাত্র আমার ভিতরের জ্ঞানকে সবার মাঝে শেয়ার করা। কিন্তু সবাই পড়ে চলে যাবেন কিন্তু শেয়ার করবেন না এটা আমি জানি। তাই একটা চরম সিক্রেট আমার হাতে রাখলাম। যা আপনার মার্কেটিং এর জন্য ৬০% কষ্ট কমিয়ে দিবে। আর এই সিক্রেট শুধু তারাই পাবে যারা এই পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার করবে। (এটা এক প্রকার মজা, সিরিয়াস নেবার কিছু নাই। সিক্রেট টা আবার ফ্যান পেজেই পাবলিশ করব)
এই ছিল এনভাটো প্রোডাক্ট মার্কেটিং গাইডলাইন। আশা করছি আপনার প্রোডাক্ট এইবার ২০০% এর বেশি সেল বৃদ্ধি পাবে। যদি আপনি আমার এই গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করেন। আর এই গাইডলাইন অনুযায়ী যদি আপনার প্রোডাক্ট ভালো পারফর্ম করে তবে সেটা হবে আমার লেখার সার্থকতা। আমি আশাবাদী এই ব্যাপারে। আপনার প্রোডাক্ট অনেক বেশি বেশি সেল হোক এই শুভেচ্ছা রইল।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি। আমার জন্যও আপনারা দোয়া করবেন। দেখা হবে অন্য আরেকটা লেখাতে। আল্লাহ হাফেজ।
লেখাটি যত সহজে আপনি পড়লেন ততটা কষ্ট হয়েছে আমার লিখতে। তাই আপনাদের মতামত হইত আমাকে আরও বেশি অনুপ্রানিত করবে লেখার জন্য। আশা করছি আরও ভালো কিছু সামনে আপনাদেরকে দিতে পারব। কিন্তু সেই পর্যন্ত আমার সাথে থাকবেন।
0 comments:
Post a Comment