2016 @ Fapor-Buzz. Powered by Blogger.

Paling Dilihat

Saturday, April 23, 2016

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেস স্টাডি (যেভাবে সফল হবেন)

by Unknown  |  at  7:35:00 AM

পোস্ট টা লেখার আগে অনেকক্ষণ সময় নষ্ট করলাম আমি টাইটেল টা কি দেবো তা নিয়ে। পোস্ট টার জন্য আসলে কি টাইটেল দেয়া দরকার বুঝতে পারছি না। এটা একটা কেস স্টাডি আসলে যেখানে আমি কিছুদিন আগে একটা এফিলিয়েট নিশ সাইট কিভাবে র‍্যাঙ্কিং এ প্রথম পেজ আনলাম তা বলতে চাই আবার এটা একটা এফিলিয়েট মার্কেটিং গাইডলাইন ও। কারণ এটা একটা বিশাল আর্টিকেল যেখানে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি থেকে শুরু করে সবকিছুই বলতে চাই আমি। যাই হোক, আসুন শুরু করা যাক। সময় নিয়ে বসলে ভাল করবেন কারণ এটা একটা অনেক বড় আর্টিকেল হতে যাচ্ছে।

আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

এফিলিয়েট মার্কেটিং সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাসিভ ইনকাম মাধ্যম। এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এটা বোঝার জন্য আপনার প্রথমে বুঝতে হবে প্যাসিভ ইনকাম কি। প্যাসিভ ইনকাম মানে হল আপনি একটি প্রোসেস সেটাপ করবেন যেটার কারণে একসময় আপনি যখন কাজ করবেন না বা কম কাজ করবেন তখনও আপনার আয় হতে থাকবে। যেমন ধরুন পেনশন একটা প্যাসিভ ইনকাম কারণ আপনার কাজ করতে হচ্ছে না কিন্তু আপনি টাকা পাচ্ছেন। চাকরি কিন্তু প্যাসিভ ইনকাম না কারণ চাকরি তে আপনি কাজ করছেন এবং সে হিসেবে টাকা পাচ্ছেন। এটা হল এক্টিভ ইনকাম। তো যাই হোক, আমরা কথা বলছি আমাজন নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং বা আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে। এটা কি জিনিস?
আমাদের মটিভেশনাল পডকাস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত আছে। তাই বোরিং লেখা পড়ার থেকে চলুন পডকাস্ট টা শুনে ফেলি। এটা একটা এক ঘন্টা ২০ মিনিটের পডকাস্ট। পুরো টা শুনলে আশা করি আপনার আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কেন বা কিভাবে করে। চলুন আগে শুনে ফেলি পডকাস্ট টা।
আচ্ছা, তো এখন আপনারা বুঝে ফেলেছেন আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কেন বা কিভাবে আগাবো আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে। এবার আমরা কেস স্টাডি টায় চলে যাই চলুন।

মিশন এপ্রিল, ২০১৬ কেস স্টাডি

তো গত ডিসেম্বর আমি ঠিক করি, একটা সাইট বানাবো যেটাকে এপ্রিল এর মধ্যে গুগলের প্রথম পেজ এ নিয়ে আসার জন্য কাজ করবো। সাইটের নাম ছাড়া আমি সবকিছুই রিভিল করছি এখানে। আশা করি এ থেকে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে কিভাবে একটি সাইট নিয়ে আগাতে হয়।
সাইটের বিস্তারিত
  • ডোমেইন কেনা হয়ঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫ (নেমচিপ)
  • হোস্টিং কেনা হয়ঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫ (নেমচিপ)
  • থিমঃ সাহিফা
  • সাইটের মেইন কি-ওয়ার্ডঃ বেস্ট + প্রোডাক্ট
  • মেইন কি-ওয়ার্ডের মান্থলি সার্চ ইন ইউ এস এঃ ৬০০০
  • কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টিঃ ৩৫
  • প্রোডাক্ট প্রাইজঃ ৭০-১০০ ডলার অন এভারেজ
নোটঃ
কিওয়ার্ড খুঁজে বের করা অনেকের জন্যই বিশাল সমস্যার কাজ। একটু আগে যে পডকাস্ট টা শুনলেন সেখানে কি-ওয়ার্ড রিসার্চের বিষয়ে বলা আছে তবে আমি পরে শুধু কি-ওয়ার্ড রিসার্চের জন্য একটি পডকাস্ট বানিয়েছিলাম। শুনে ফেলুন এখনই।

ডিসেম্বর এর কাজ

তো সাইট কেনা হল এই মাসের শেষের দিকে। সময় বেশি নেই। এখন সাইট র‍্যাঙ্ক করতে আগের থেকে অনেক বেশি সময় লাগে। সুতরাং কেনার পর থেকেই কাজ করা শুরু করে দিতে হল যেহেতু এপ্রিলের মধ্যে সাইট র‍্যাঙ্ক করানো টার্গেট আমাদের।
ডিসেম্বরের কাজ খুব সহজ। এখনই আমি এসইও বা অন্য কিছু নিয়ে কিছু ভাববো না। শুধুমাত্র কোয়ালিটি কনটেন্ট পাবলিশ করা হবে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি তে। কনটেন্ট পাবলিশের রুল আমার কাছে খুব সিম্পল। আমার কম্পিটিটর দের ওয়েবসাইট গুলো দেখি আমি। এবং চেষ্টা করি ওদের থেকে বড় এবং ওদের থেকে ভাল কনটেন্ট দেয়ার। কনটেন্ট এর জন্য আমি সবসময়ই InkWork এ অর্ডার দেই। সরাসরি InkWork ফেসবুক পেজ এ কথা বলে আলোচনা করে অর্ডার দেয়া টাই বুদ্ধিমানের কাজ।
তো যাই হোক, আমি একটা ৪০০০ ওয়ার্ড হোমপেজ আর্টিকেল এর অর্ডার দেই। এর সাথে প্রায় ১০,০০০ ওয়ার্ডের রিভিউ + Informative Article ও অর্ডার করি ডিসেম্বরের জন্য।
যখন InkWork আর্টিকেল রেডি করছে, এর মধ্যে আমি সাইটের প্লাগিন এবং ডিজাইন রেডি করে ফেলি। আমি সাইট খুব সাধারণ রাখতেই পছন্দ করি (একটা কারণ হতে পারে আমি বেশি জটিল সাইট বানাতে পারি না)। সাইটে কি কি প্লাগিন দিতে হবে সে বিষয়ে আল-আমিন ভাই এরমাস্ট হ্যাভ ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন বিষয়ক আর্টিকেল টা দেখে নিতে পারেন।
একই সাথে সাইটের লোডিং স্পিড বাড়ানোর জন্য কাজ করি। সাইটের স্পিড র‍্যাঙ্কিং এ একদম সরাসরি প্রভাব ফেলে। সাহিফা থিম টাও অত সাধারণ না, একটু ভারি। এজন্য সাইটের লোডিং স্পিড কমাতে কিছু প্লাগিন ইউজ করতে হয়।
তো এই ছিল আমার ডিসেম্বরের কাজ। ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ আমাকে আর্টিকেল গুলো ডেলিভারি দেয় InkWork. ডিসেম্বর মাসেই আপলোড করে দেই আমি আর্টিকেল গুলো।
ডিসেম্বরের খরচ
  • ডোমেইনঃ ১০ ডলার
  • হোস্টিংঃ আমার নেমচিপ থেকে আনলিমিটেড হোস্টিং নেয়া ছিল তাই ০ ডলার
  • থিমঃ ৫৯ ডলার
  • ৪০০০ ওয়ার্ডের হোমপেজ + ১০,০০০ ওয়ার্ডের রেগুলার আর্টিকেল ঃ ১৪০ ডলার
টোটালঃ ২০৯ ডলার বা ১৫,৬৭৫ টাকা
ডিসেম্বরের আয় 
০ টাকা

জানুয়ারি এর কাজ

ডিসেম্বরের শেষ দিকেই সাইটে অনেক কন্টেন্ট দিয়ে দেয়া হয়েছে। এজন্য জানুয়ারির শুরুতে কিছু করার আগেই আমার টিম সব সোশাল মিডিয়া তে সাইটের জন্য একাউন্ট এবং পেজ খুলে ফেলে। কোন সোশাল মিডিয়া বাদ দেয়ার কোন কারন নেই। সব কিছুতেই একাউন্ট, পেজ বা প্রোফাইল খুলে অডিয়েন্স এর সাথে ইন্ট্যারেকশনের চেষ্টা করে যেতে হবে। যেসব সোশাল মিডিয়া বেশি এফেকটিভঃ
  • ফেসবুক
  • টুইটার
  • পিন্টারেস্ট
  • লিঙ্কডইন
  • গুগল প্লাস
  • রেড্ডিট
এছাড়াও চেষ্টা করা উচিত যত বেশি সোশাল মিডিয়া তে নিজের সাইট ভিজিবল করা যায়। আমার একটা ছোট এসইও টিম আছে যারা এই কাজ গুলো করে থাকে তবে নিজে করা কোন কঠিন বিষয় না। আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন।
এর পরের কাজ হল সাইটে আরো আর্টিকেল দেয়া। প্রায় প্রতি ২ দিনে একটি করে আর্টিকেল দিচ্ছি আমি জানুয়ারি তে। প্রতিটি আর্টিকেল ই ১০০০ ওয়ার্ডের বেশি রাখার চেষ্টা করছি। জানুয়ারি তে শুধু সোশাল শেয়ার এবং সোশাল ইন্টারেকশন ছাড়া অন্য কোন টাইপ এসইও করা হবে না।
জানুয়ারির খরচ
  • ১৫ হাজার ওয়ার্ডের আর্টিকেল ঃ ১৫০ ডলার বা ১১২৫০ টাকা
জানুয়ারির আয়
০ টাকা

ফেব্রুয়ারি এর কাজ

বইমেলা শুরু হয়ে গেছে। আমি অনেক বেশি বই এর পোকা টাইপ এবং বইমেলার ও পোকা টাইপ বলা যায়। আমি অনেকবার বইমেলা যাই এবং ফেব্রুয়ারি পুরোটাই কাটে বই পড়ে। তাই এই মাসে কতটুকু কাজ করতে পারবো শিওর ছিলাম না। তবে এই মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই মাসে আমাদের এসইও শুরু করার কথা।
এসইও এর সাথে সাথে কিন্তু আমাদের আর্টিকেল ও চলছে প্রতি ২ দিনে একটা করে। তবে এই মাসের মূল ফোকাস টা হল এসইও।
নোটঃ সাইটের বেশ কিছু কি-ওয়ার্ড কোন এসইও ছাড়াই প্রথম পেজ এ চলে এসেছে।
এসইও এর জন্য আমার সবচেয়ে পছন্দের কাজ ইমেইল আউটরেচ। ইমেইল আউটরেচ এর মাধ্যমে আপনার সাইট শুধু র‍্যাঙ্কিং এই আগাবে না, একই ইন্ডাস্ট্রির আরো যাদের ওয়েবসাইট আছে তাদের সাথে আপনি যোগাযোগ করছেন, তাদের সাথে একটি সম্পর্ক হচ্ছে যা পরে অনেক বেশি কাজে আসবে।
ইমেইল আউটরেচ এর জন্য আমি খুব সাধারণ একটা পদ্ধতি ব্যবহার করি। স্টেপগুলো এরকমঃ
  • প্রথমে যেসব সাইট থেকে আমি লিঙ্ক পেতে পারি এরকম ৩০ টা সাইটের লিস্ট বানাই
  • ৩০ টা সাইটেই ইমেইল করি জিজ্ঞাসা করে যে ওরা গেস্ট পোস্ট এক্সেপ্ট করে কি না
  • যারা রিপ্লাই দেয় তাদের আলাদা করে মেইল করে করে একটা করে গেস্ট পোস্ট পাবলিশ করি তাদের সাইটে
  • যারা রিপ্লাই দেয় না তাদের ফেসবুক পেজ এবং সাইট ওনারের ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে বের করে এড করি
  • ফেসবুক পেজ ইনবক্স অথবা ওনার কে ফ্রেন্ড রিকয়েস্ট পাঠিয়ে রিলেশন বিল্ডিং এর চেষ্টা করি
  • এবং তাদের কাছ থেকেও গেস্ট পোস্ট পাবলিশ এর পারমিশন চাই
অবশ্যই, সবাই রাজি হবে না এবং সবার রাজি হবার দরকার ও নেই। আপনি ৩ ধাপে ৩০ টা করে টোটাল ৯০ টা সাইটে যোগাযোগের চেষ্টা করুন। আশা করা যায় ১৫ টা সাইট আপনাকে রিপ্লাই করবে। তাদের সাথে একটা বন্ধুত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। প্রথমেই আপনার লিঙ্ক লাগবে বলবেন না। প্রয়োজন হলে আপনি প্রথম আর্টিকেল টা কোন ব্যাকলিঙ্ক ছাড়াই লিখে দিন। দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ই সুবিধা হবে লং রান এ।
যাই হোক, এছাড়া রেগুলার এসইও ও করা হচ্ছে এই মাসে। এসইও এর জন্য এই গাইড ২টি ফলো করা হচ্ছে মূলত।
ফেব্রুয়ারির খরচ
  • ১৫ হাজার ওয়ার্ডের আর্টিকেল ঃ ১৫০ ডলার বা ১১২৫০ টাকা
  • একটা ইনফোগ্রাফিঃ ২০ ডলার বা ১৫০০ টাকা
সাইট পজিশন
ফেব্রুয়ারি তে সাইটে প্রথম আয় হয়। এর আগ পর্যন্ত সাইটের কোন ইনকাম ছিল না। যদিও আমাদের মেইন কিওয়ার্ড এখনো ৫ম পেজ এ আছে গুগলে, তবে অন্য কিছু ভাল কিওয়ার্ড ২য় পেজ এ চলে এসেছে। এগুলো থেকেই কিছু আয় এসেছে। যদিও আয় এবং র‍্যাঙ্কিং গুলো আমি আমার গ্রুপে শেয়ার করি, তবে প্রথম মাসের আয় টা এখানে দেয়া যায়।
Capture

সাইটের আয় ফেব্রুয়ারি তেঃ ২১ ডলার ৩১ সেন্ট বা ১৬০০ টাকা।

মার্চ এর কাজ

তিন মাসের মধ্যে মার্চ আসলে সবচেয়ে সহজ হতে যাচ্ছে। মূল কারণ হল আমাদের এখন একটা ফিক্সড সিস্টেম আছে যেভাবে আমরা কাজ করছি। এই মাসে আসলে তেমন কিছু করার নেই। এই কাজগুলো রেগুলার করা হচ্ছে শুধুঃ
  • ফেব্রুয়ারির মত করেই এসইও
  • ফেব্রুয়ারির মত করে আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়েছে প্রতি ২ দিনে একবার করে
  • র‍্যাঙ্কিং মনিটরিং
  • সোশাল শেয়ারিং
আপডেটঃ মার্চ মাসেই সাইট র‍্যাঙ্কিং এ চলে এসেছে সাইটের মেইন কিওয়ার্ডের জন্য।
ranking
মার্চের খরচ
  • ১৫ হাজার ওয়ার্ডের আর্টিকেল ঃ ১৫০ ডলার বা ১১২৫০ টাকা
মার্চের আয়
১১৮ ডলার বা  ৮৮৫০ টাকা।
নোটঃ ইনকাম আপডেট টা মার্চের প্রথম সপ্তাহের। এ মাসে এই সাইট থেকে আশা করছি ৫০০ ডলারের বেশি আয় হবে। হয়তো এই পোস্টে জানিয়ে দেবো আমি মাস শেষে। সবাইকে কেস স্টাডি টা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। যেকোন প্রশ্নের জন্য ফেসবুক যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ।

0 comments:

Proudly Powered by Blogger.